উপজেলা প্রতিনিধি, সুবর্ণচর :

জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ ভূঞারহাট বাজারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে ১৮ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরে ফজর নামাজ পড়তে উঠে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান তারা। তাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এর মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ২৫টি দোকান পুড়ে যায়।
এতে মোটর পার্টস, মুদি, মনোহারি, স্টেশনারি, ইলেকট্রিক, ক্রোকারিজ, মোটরসাইকেলের গ্যারেজ, খাদ্য গুদাম, চা-দোকান, ওষুধ, তেলের দোকানসহ ১৮টি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে সূবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
বাজার পাহারাদার জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোরে বাজারের জিরোপয়েন্ট কাইয়ুম মোটর পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখি। হঠাৎ দাউ দাউ করে দক্ষিণ দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
কাইয়ুম মটরসের মালিক আবদুল কাইয়ুম জানান, রাত সাড়ে বারোটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান তিনি। ভোরে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে এসে দেখেন দোকানে ক্যাশে থাকা নগদ ২৪ লাখ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাকী হিসাবের খাতা, বিভিন্ন কোম্পানির হিসাব-নিকাশের সবকিছু পুড়ে গেছে। তিনি কয়েকটি কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়েছেন, তাদের হিসাবের খাতাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মা জননী ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড পার্টসের মালিক মো. কাজল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করে। সব ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।
সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ নুরুন নবী বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ২০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং ৫টি দোকান আংশিক পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তিনি আরো বলেন, কোন দোকান থেকে প্রথমে আগুন ছড়িয়েছে তা জানা যায়নি।