উপজেলা প্রতিনিধি চাটখিল :

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সরকারের পদত্যাগের গুজব দেখে চাটখিলে শোডাউন করেছে আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শোডাউন শেষে সেখান থেকে আওয়ামীলীগের দুই নেতাকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ফেসবুকে অন্তবর্তী সরকারের পদত্যাগের গুজব শুনে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে শোডাউন করে আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী। শো ডাউনের খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও বাজারে আসে। বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আওয়ামী লীগ।
পরে বাজার থেকে আওয়ামীলীগের দুজন নেতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ীর মৃত রুহুল আমীনের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল রাসেল (৪২) এবং একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ীর ইসমাইল বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া লিটন (৪৫)।
স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মেহেদী হাসান বাহালুল বলেন, ‘আটককৃত দুজন আমার সাথে বসে কথা বলছিলেন। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দেখে তারা সেখান থেকে উঠে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের আটক করা হয়। তারা কোনো শোডাউনে ছিলেন না।
তাদের একজন পারিবারিক কাজে একদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। আরেকজন বাজারের ব্যবসায়ী।’
শোডাউনের পর ইউনূস সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি গুজব বুঝতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
আজিম মিজি নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা লেখেন, “আপনারা গুজব ছড়ান। দুঃখ জনক হলেও সত্য আপনারা সাধারন কর্মীদের সমস্যা বুঝেন না, তাদের খোজ নেন না। একটা বারও কি ভাবেন, কয়েক কোটি ভক্ত সমর্থক কেমন আছে? তারা আপনাদের কাছে কি চায়? লজ্জা হয় না আপনাদের? কোন মুখে আপনারা এসব গুজব ছড়িয়ে কর্মীদের বিপদে পেলেন? আপনাদের শিক্ষা হওয়া উচিত, তেল মেরে মেরে কেন্দ্রীয় পদ-পদবী পেয়ে কোটি টাকা কামিয়ে বিদেশে পড়ে আছেন, এসব বাদ দিয়ে এবার দেশ ও দল নিয়ে একটু ভাবেন।”
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ উপজেলার বানসা বাজার থেকে দুজনকে আটক করে নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় পূর্বের কোনো অভিযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদ ও তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’